| |
               

মূল পাতা মুসলিম বিশ্ব আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস


আজ ঐতিহাসিক বদর দিবস


রহমত নিউজ     18 March, 2025     01:00 PM    


আজ ১৭ রমজান। ঐতিহাসিক বদর দিবস। ৬২৪ ঈসায়ী তথা দ্বিতীয় হিজরির ১৭ রমজানে বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয় ইসলামের ইতিহাসে প্রথম যুদ্ধ। প্রতিপক্ষ ছিল মক্কার মুশরিক ও মদিনার মুসলিম। এতে মুসলমানদের সেনা সংখ্যা ছিল মাত্র ৩১৩। এই যুদ্ধে মুসলমানরা সংখ্যায় কম হয়েও কাফিরদের বিশাল বাহিনীর ওপর বিজয় লাভ করেছে। কুরআনুল কারীমে এই যুদ্ধকে সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী যুদ্ধ বলে অভিহিত করা হয়েছে।

এ যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পবিত্র মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে ইসলাম তথা মুসলমানদের বিজয়ের ধারা সূচিত হয়েছিল এবং পূর্ণাঙ্গ ইসলামী রাষ্ট্রক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে আবু জাহেলের এক হাজার অস্ত্রসজ্জিত বাহিনীর বিপরীতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ৩১৩ জন সাহাবায়ে কেরাম আল্লাহ তা’আলার গায়েবী সাহায্যে আবু জেহেলের বিশাল বাহিনীকে পর্যুদস্ত করেছিলেন অত্যন্ত কঠিনভাবে।

এ যুদ্ধে মুশরিক বাহিনীর ২৪ জন সর্দার মারা যান। যুদ্ধে ২ জন আনসার কিশোর সহোদর হযরত মাআজ (রা.) ও হযরত মুআজ (রা.) আবু জাহেলকে হত্যা করেন। সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) আবু জাহেলের মাথা কেটে বিশ্বনবী হয়রত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট হাজির করেছিলেন।

ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধে মুসলিম বাহিনী থেকে ১৪ জন শহীদ হয়েছিলেন আর মুশরিক বাহিনীর ৭০ জন নিহত এবং ৭০ জন বন্দী হয়েছিলেন। আর এরা ছিল গোত্রসমূহের সর্দার এবং নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি। ইসলাম ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর চরম ১৪ জন শক্রর মধ্যে আবু জাহেল, উৎবা ও শায়বাসহ ১১ জনই জাহান্নামে পৌঁছে যায়।

যুদ্ধ শেষে বদর প্রান্তরে নিয়ম অনুযায়ী ৩ দিন অবস্থান শেষে চতুর্থ দিনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনার পথে যাত্রা করেছেন। তাঁর সাথে ছিল বন্দি কোরাইশরা এবং যুদ্ধলব্ধ সম্পদ। যুদ্ধবন্ধীদের সাথে আল্লাহর নবী ও মুসলিমরা যে সহমর্মিতা দেখান বিশ্বের ইতিহাসে তার নজির পাওয়া মুশকিল।

যুদ্ধসূচনার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ:

মদিনায় সফলভাবে ইসলাম সুপ্রতিষ্ঠিত হওয়ায় মক্কার কোরাইশরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে হিংসায় লিপ্ত হল। আবদুল্লাহ ইবনে ওবাই ও ইহুদিরা যড়যন্ত্র শুরু করল। মুসলমানদের সঙ্গে সন্ধি শর্ত ভঙ্গ করল।

কোরাইশরা তাদের বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার আশঙ্কায় যুদ্ধের ঘোষাণা দিল। নবীজিকে চিরতরে নিশ্চিহৃ করার নিকৃষ্ট পরিকল্পনা ও নীল নকশা তারা আঁকল।

কাফেরদের রণপ্রস্তুতি, আবু সুফিয়ানদের অপপ্রচার, যুদ্ধ প্রস্তুতির জন্য ঐশি বার্তা, মক্কাবাসীদের ক্ষোভ এবং কাফের দ্বারা মদিনা আক্রমণ ঠেকাতে মুসলমানরা মদিনার দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে ৮০ মাইল দূরে ১৭ ই রমজান কাফেরদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে উপনীত হন।

এই ঐতিহাসিক যুদ্ধ থেকে মুসলমানদের অর্জন ছিল- আত্মবিশ্বাসের সৃষ্টি, বিশ্ব জয়ের সূচনা, সর্বোত্তম ইতিহাস রচনা। প্রথম সামরিক বিজয়, কোরাইশদের চরম পরাজয়। মিথ্যার ওপর সত্যের জয়।