রহমত নিউজ 13 April, 2025 11:12 AM
বাঙালি সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানি সংস্কৃতিকে জাতীয় উৎসব বানানোর ষড়যন্ত্র এদেশের তাওহীদি জনতা মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী।
তিনি বলেন, বাঙালি সংস্কৃতির নামে হিন্দুয়ানি সংস্কৃতিকে জাতীয় উৎসব বানানোর ষড়যন্ত্র এদেশের তাওহীদি জনতা এটি কোনোভাবেই মেনে নেবে না। পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণ উপলক্ষে যে কোনো হিন্দুয়ানী উৎসবে অংশগ্রহণ করা মুসলমানদের জন্য গুনাহের কাজ। ঢালাওভাবে সার্বজনীন হিন্দুয়ানির সংস্কৃতি পালনে সরকারি বেসরকারি ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের বাধ্য না করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতি জোর দাবি জানান তিনি।
শনিবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের নামে মুসলিম শিক্ষার্থীদের ঈমান বিধ্বংসী শিরিকি উৎসব রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনে বাধ্য করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, বহুত্ববাদে বিশ্বাসী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চৈত্র সংক্রান্তি উৎসব পালন করতে মাদরাসাগুলোতে নির্দেশ দিয়ে মুসলিম শিক্ষার্থীদের শিরিকের মতো কবিরা গুনাহের কাজে বাধ্য করছে। বাংলাদেশ সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশ। এদেশে হিন্দু বৌদ্ধ উপজাতিসহ বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা আদিকাল থেকে তাদের নিজ নিজ ধর্ম ও উৎসব পালন করে আসছে। এতে কারো আপত্তি নেই। কিন্তু সম্প্রতি ১লা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কৃষ্টি কালচার বা ধর্মীয় উৎসব পালনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকে বাধ্য করা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
মাওলানা মিয়াজী আরও বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারো মাসে তেরো পার্বণের অংশ হলো চৈত্র সংক্রান্তি বা চড়ক পূজা।ভূত-প্রেত ও পুনর্জন্মের বিশ্বাসীদের শিব লিঙ্গেরএই নীল পূজা মূলত হিন্দুদের শ্মশানে পালিত হতো। এটা মূলত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব। আর উপজাতিরা বিজু উৎসবের নামে ১২ এপ্রিল পালন করে গঙ্গা পূজা এবং ১৩ এপ্রিল পালন করে বিজু উৎসব, ত্রিপুরা উপজাতিরা বৈসু এবং মারমা উপজাতিরা সাংহাই ইত্যাদি স্বজাতীয় হিন্দুয়ানি উৎসব। এগুলোর সাথে ইসলাম ও মুসলমানদের কোন সম্পর্ক নেই।