রহমত নিউজ 07 July, 2025 12:07 PM
আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ একটি ঐতিহ্যবাহী, মজবুত ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। আমাদের অতীতের সকল আকাবির এই সংগঠনের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তাঁদের রেখে যাওয়া এই মহান দায়িত্ব, এই আমানত আজ আমাদের কাঁধে। এটি আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালে আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) সারা দেশ থেকে আমাদের ডাক দিয়ে বলেছিলেন— খতমে নবুওয়াতের কাজ একমাত্র এই ব্যানারের অধীনেই চলবে। আজ আমরা সেই পয়গাম আপনাদের কাছে পৌঁছে দিতে এখানে উপস্থিত হয়েছি।
রোববার (৬ জুলাই) রাজধানী ঢাকার জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ মাদরাসায় আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফ্ফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর লালবাগ জোনের উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন। মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে হযরত মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী বলেন, খতমে নবুওয়াত আমাদের ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে, অদম্য গতি ও দৃঢ়তা নিয়ে এই পথে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতে উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি। অতীতে দেখেছি, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘মানবাধিকারের’ নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন এবং ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা করেছে। এসব হস্তক্ষেপ সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত এবং ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থি। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় হতে দেওয়া হবে না।
মতবিনিময় সভায় মুফতী সুলতান মুহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসূফ আশরাফ, ইসলামি ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা যুবায়ের আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, জামিয়া ইসলামিয়া ইসলামবাগ মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল মাওলানা আব্দুল কাইউম, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতীব মুফতি মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।
আরো উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফী, মাওলানা রাশেদ বিন নূর, মাওলানা হামিদুল হক, মাওলানা আনোয়ারুল হক, মুফতী শামসুদ্দীন বড়াইলী, মুফতি আনিস সাহেব, মাওলানা শহিদুল আনোয়ার সাদী, মাওলানা হাবিবুর রহমান চাঁদগামী, মুফতি মুশফিকুর রহমান, মাওলানা খালেদ মোশাররফ, মাওলানা ইয়ামিন হুসাইন আজমী, মাওলানা আব্দুর রশিদ, মাওলানা ইরফান বিন রফিক, মুফতি আব্দুল মালেক, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম শেখ, মাওলানা আবু মুসা, মাওলানা আল আমীন মাসুদ, মুফতি হিফজুর রহমান, মুফতি আহসান হাবিব, মুফতি ইব্রাহিম খলিল কাওসারী, মাওলানা নুরুল করিম ইউনুসী প্রমুখ।
সম্মেলন শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ, ঈমানের নিরাপত্তা এবং খতমে নবুওয়াতের হেফাজতের জন্য বিশেষ মুনাজাত করা হয়।