রহমত নিউজ 05 May, 2025 12:55 PM
২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে ভয়াবহ গণহত্যা চালায় স্বৈরাচারি আওয়ামীলীগ সরকার। সেই হত্যকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবি করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোমবার (৫ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান এ দাবি জানান।
নেতৃদ্বয় বলেন, ইসলামী মূল্যবোধ ও প্রিয় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান রক্ষায় ঘর ছেড়ে আসা হাজারো আলেম-উলামা, তাওহিদী জনতা ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের উপর রাতের অন্ধকারে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে যেভাবে অমানবিক হামলা চালিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বেদনাবিধুর ও কলঙ্কিত অধ্যায়। এক যুগ পার হয়ে গেলেও সেই গণহত্যার কোনো বিচার হয়নি; বরং বরাবরই সত্য ঘটনা গোপনের অপচেষ্টা চালানো হয়েছে। আমরা এই নির্মম হত্যাযজ্ঞের নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানাই।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, গতকাল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে ৯৩ জন শহীদের নাম, পরিচয় ও তথ্য প্রকাশ করেছে। এছাড়া বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিবেদন, গণমাধ্যমের সীমিত অংশে প্রকাশিত তথ্য, প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ এবং শহীদ ও গুম হওয়া পরিবারগুলোর কান্না-সবকিছুই স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে শাপলায় রক্তের নদী বয়ে গেছে। অথচ এত বড় একটি হত্যাযজ্ঞের আজ পর্যন্ত কোনো স্বচ্ছ তদন্ত হয়নি, দায়ীদের বিচার হয়নি। সম্প্রতি পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কমিশন গঠিত হয়েছে, জুলাই অভ্যুত্থানে দায়ীদের বিচার হবে বলে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ জাতিকে আশ্বস্ত করছেন। কিন্তু শাপলার শহীদদের কথা যেন সকলেই বেমালুম ভুলে গেছেন। শাপলার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু করতে এখনো কোনো সরকারি কমিশন গঠিত হয়নি। যা স্বৈরাচারের গুলিতে শহীদ ওলামা-জনতার রক্তের সঙ্গে সরাসরি বেইমানি। দেশের ইসলামপন্থী জনতার প্রতি এ ধরনের বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অনতিবিলম্বে শক্তিশালী কমিশন গঠন করে শাপলার বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করুন।
তারা আরও বলেন, আমরা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে দাবি জানাচ্ছি, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতার চেয়ারে আসীন হওয়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্তব্য হলো ৫ মে শাপলায় সংঘটিত গণহত্যার নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত কমিটি গঠন করা। তাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করুন।