মূল পাতা আন্তর্জাতিক ভারতের হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদেই নামাজ পড়লেন পাকিস্তানের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা
রহমত নিউজ 08 May, 2025 01:33 PM
ভারতের অধিকৃত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক এক হামলা ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা ইতোমধ্যে যুদ্ধের রূপ ধারণ করেছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা হুমকি-ধমকির পর এবার বাস্তবিকই পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে দিয়েছে ভারত। গত মঙ্গলবার (৬ মে) দিবাগত মধ্যরাতে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বেশ কয়েকটি মসজিদ ধ্বংস হয়ে যায়। তবে, এত বড় হামলার পরও স্থানীয় বাসিন্দাদের মনোবলে ফাটল ধরেনি এতটুকু। যার প্রমাণ, ভারতের হামলা আতঙ্কের মধ্যেও মুরিদকেতে ও মারকাজে ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদেই ফজরের নামাজ আদায় করেছেন শত শত মুসল্লি।
জানা যায়, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একটি তিন বছরের শিশুও রয়েছে। এছাড়া মুজাফফরাবাদ, কোটলি, মুরিদকে ও বাঘ এলাকায় হামলায় হতাহতদের খবর পাওয়া গেছে। মুজাফফরাবাদের বিলাল মসজিদেও হামলা চালানো হয়, যেখানে এক শিশু আহত হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে হামলা আতঙ্কের মধ্যেই ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারতীয় সীমান্তের কাছের এলাকাগুলো সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউটের আওতায় থাকা সত্ত্বেও দমে যাননি বাসিন্দারা। পালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে সংহতি প্রকাশের জন্য ফজরের ওয়াক্তে মারকাজে একত্রিত হয়েছিলেন পুরো এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি মসজিদটি ঘিরে ফেললে প্রায় দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়, বাসিন্দাদের সকালের নামাজ পড়তে বাধা দেওয়া হয়। তবে, স্থানীয়দের চাপের মুখে পুলিশ অবশেষে নতি স্বীকার করে এবং বাসিন্দারা ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে নামাজ আদায় করেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় নেতা শেখ তামোইর বলেন, ভারত থেকে আসা চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আট মিনিটের মধ্যে আমার মাঠের কয়েকশ ফুট দূরে মারকাজ তাইবা, মুরিদকেতে আঘাত করে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমিকম্পের মতো মাটি কাঁপিয়ে দিয়েছিল এবং নাঙ্গার সাদাইনের গ্রামবাসীদের তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করেছিল। পরে আরও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যার একটির আঘাতে প্রাসাদীয় একটি মসজিদ ধ্বংস হয়। এরপরও ঝুঁকি উপেক্ষা করে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে নামাজ আদায়ের ঘটনা, তাদের দৃঢ় মনোবলেরই প্রমাণ।