মূল পাতা আন্তর্জাতিক সোশ্যাল মিডিয়ায় পাকিস্তানের পক্ষে পোস্ট করায় ভারতে গ্রেপ্তার শতাধিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক 22 May, 2025 12:35 PM
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে পোস্ট করায় অন্তত একশোরও বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে ভারত।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বিবিসি বাংলা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, অনেক রাজ্য থেকেই গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেলেও সবচেয়ে বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন আসাম আর উত্তর প্রদেশে। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, তার রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর উত্তর প্রদেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন অন্তত ৩০ জন।
আসামে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন আমিনুল ইসলাম নামে এআইইউডিএফের এক বিধায়কও। গত ২৩ এপ্রিল পেহেলগাম হামলা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পরের দিন আসামের নগাঁও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে নগাঁওয়ের জেলা আদালতে আমিনুল ইসলাম জামিন পেলেও সঙ্গে সঙ্গেই আবার তাকে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়।
উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩০ জন। তাদের ১৮টি জেলা থেকে ধরা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে আছেন মুহাম্মদ সাজিদ নামে বরেলি জেলার এক বাসিন্দা। পুলিশ বলছে, তিনি একটি পোস্টে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ লিখেছিলেন। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের মেরঠের এক সেলুন মালিক ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় ৭ মে। তারা সামাজিক মাধ্যমে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ পোস্ট করেছিলেন।
একই অভিযোগে আনোয়ার জামিল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে মুজফফরনগর জেলার পুলিশ। একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জামিলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বলে পুলিশ।
এদিকে সামাজিক মাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে অসন্তোষ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তাভাবনা ছড়ানোর অভিযোগে কাশ্মীরের শ্রীনগরে হিলাল মীর নামে এক সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা এক বিবৃতিতে বলেছে, কাশ্মীরিরা রাষ্ট্রযন্ত্রের দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন– এই কথা বলে যুবসমাজের ভাবনাকে উসকে দিতে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী চিন্তা তাদের মাথায় ঢোকাতে পোস্ট করেছিলেন হিলাল মীর।
এদিকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে দ্য হিন্দু লিখেছে, রাজ্যের নানা জেলা থেকে ছয় থেকে আট জনকে পাকিস্তানের পক্ষে পোস্ট করার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হুগলী, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, বারাসাত, বাঁকুড়া এবং উত্তর দিনাজপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এছাড়া, মধ্যপ্রদেশেও অন্তত সাতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন পেহেলগামের হামলার ঘটনার পর থেকে। দামোহ জেলার দুজনকে ধরা হয়েছে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগে।